একজন নতুন ইউটিউবার এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তার ইউটিউবে ভিডিও viral করা। কারণ একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খোলার সাথে সাথে তার চ্যানেলে Traffic বা Visitor আসে না।
যখন কেউ ইউটিউব শুরু করে তখন সে ইউটিউবের অ্যালগরিদম সম্পর্কে তেমন বেশি কিছু জানে না বা ইউটিউব সম্পর্কে তার ধারণা খুবই কম। তাই সে সঠিকভাবে ভিডিও এডিটিং, ভিডিও আপলোড, ভিডিও SEO, থামলেন মেকিং করতে পারে না। যদি কেউ ইউটিউব নামক ফিল্ডে কাজ করতে আসে তাহলে তার অবস্যয় অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হবে কারণ ধৈর্য ছাড়া ইউটিউবে কখনোই Success হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। নতুন কেউ ইউটিউবে আসার পরে ৪ মাস বা ৬ মাস কাজ করার পরে সে বুঝতে পারে, যে ইউটিউবে ভিডিওতে কী টাইপের Title এবং Thumbnail ব্যবহার করতে হবে, Video কিভাবে SEO (Search Engine Optimisation) করতে হবে। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন চ্যানেলের ভিডিও কিভাবে ভাইরাল হয়।
প্রথমে চ্যানেলের প্রফেশনাল Nme, Logo এবং Banner ব্যবহার করা। যা দেখে দর্শকের আপনার প্রতি আস্থা বাড়বে।
সঠিক Title এবং Thumbnail নির্বাচন
আপনার ভিডিওতে যত অডিয়েন্স আসে সকলে আপনার ভিডিও Title এবং Thumbnail দেখে আপনার ভিডিওটি ক্লিক করে। So বুঝতেই পারছেন আপনার ভিডিওর জন্য Title এবং Tthumbnail কতটা জরুরি।
SEO(Search Engine Optimisation) করা
আপনার ভিডিও কি রিলেটেড ইউটিউব কিন্তু সেটি বুঝতে পারেনা। SEO Optimise এর মাধ্যমে ইউটিউব বুঝতে পারে আপনার ভিডিও সম্পর্কে। আপনার ভিডিও কি টাইপের অথবা আপনার ভিডিওর সারাংশ ডেসক্রিপশন বক্সে লিখতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং আপনি যে টাইপের ভিডিও বানাবেন সেই টাইপের Kkeyword Add করবেন। আপনি যে টপিকের ভিডিও তৈরি করেছেন। সে টপিক নিয়ে ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন এবং Search এর সময় suggest এ যে Kkeyword আসবে, সেগুলো আপনি কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ভিডিও খুব দ্রুত Rank করবে। যে ভিডিও তৈরি করেছেন সেই ভিডিওর metadata, keyword, title এবং description ভালোভাবে লিখতে হবে।
অডিও কোয়ালিটি ভাল করা
একটি ভিডিওর অর্ধেক পূর্নতা পায় তার অডিও কোয়ালিটির উপরে। অডিও যখন শ্রুতিমধুর এবং crystal-clear হবে। তখন দর্শক মনযোগ দিয়ে ভিডিওটি দেখবে। এতে আপনার ফুল ভিডিও দেখার পসিবিলিটি বেশি থাকে। সম্পূর্ণ ভিডিও দেখার কারণে average view duration বেড়ে যাবে এবং ভিডিও দ্রুত ও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোয়ালিটিফুল ভিডিও তৈরি করা
আমি যতই বলি না কেন কোয়ালিটি ফুল ভিডিও তৈরি করতে হবে কিন্তু একজন নতুন ইউটিউবার এর পক্ষে কখনোই কোয়ালিটিফুল ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হয় না। তবে চেষ্টা করতে হবে সর্বোচ্চ এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিওকে সুন্দর করা। সব সময় Long ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে কারণ তিন মিনিট এর বড় ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়। তবে ভিডিওতে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর অবশ্যই সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। এতে দর্শকের আপনার প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস বাড়বে। আর ভিডিওতে সর্বোচ্চ একবার লাইক কমেন্ট অথবা সাবস্ক্রাইবের কথা বলতে পারেন কারণ এটি আজকাল মানুষ খুব বিরক্তি চোখে দেখে। আপনার ভিডিও যদি দর্শকের কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করবে।
End Screen এবং card ব্যবহার করা
আপনার ভিডিওর টপিক অনুযায়ী End Screen এ আপনার চ্যানেল থেকে একই টাইপের ভিডিও add করা। ভিডিও শেষের দিকে Card অপশনে একটি ভিডিও Add করা এবং ভিডিওতে কার্ড অপশন সম্পর্কে মেনশন করা।
কয়টি ভিডিও আপলোড করবেন?
আমার ইউটিউব চ্যানেলের যখন 40 টা ভিডিও আপলড করি তখন আমার সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম খুবই কম ছিল। চল্লিশটা ভিডিওর বেশি ভিডিও আপলোড করার পরে, আমার চ্যানেলের পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি আমার চ্যানেলের growth আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। যখন 50 থেকে 55 ভিডিও আপলোড করি, তখন আমার 1,000 সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হয়। তাই আমার সাজেশন ৬৫ এর বেশি ভিডিও আপলোড করার পরে আপনার চ্যানেলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
আর সবশেষে একটি কথা মনে রাখবেন ইউটিউব মানেই হচ্ছে ধৈর্য্য পরিক্ষার একটি মাঠ। সেখানে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। এমনকি এই ধৈর্যের পরীক্ষায় থেকে ইউটিউব আপনাকে বুঝতে পারবে যে আপনি ইউটিউবে মনিটাইজ এর জন্য যোগ্য কিনা এবং ভিডিও ভাইরাল করাবে কি না।
আর সব সময় চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে। নিয়মিত বলতে প্রতিদিনের কথা বলছি না প্রতি দুই দিন বা প্রতি তিন দিন পর পর একটি করে ভিডিও আপলোড দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে। আর আপনার চ্যানেলের সব ভিডিও ভাইরাল হবে ব্যাপারটা কিন্তু এরকম নয়। দু-একটা ভিডিও ভাইরাল হবে সেটা থেকে আপনার অনেক ভিউজ, সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম চলে আসবে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আমার পরবর্তী কোন পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ।